ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিয়ের দাবিতে অনশনে থাকা তরুনী পুলিশ সদস্য রানা মিয়ার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (৩১ আগষ্ট) দুপুরের দিকে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর পিতা মো. আ. মান্নান বাদি হয়ে গৌরীপুর থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ সদস্য মো. রানা মিয়া উপজেলার খালিজুরী গ্রামের মো. মজনু মিয়ার ছেলে। সে বর্তমানে নরসিংদীর পলাশ থানায় পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৌরীপুর সার্কেলের এএসপি মোস্তাফিজুর রহমান।

স্থানীয় সূত্র জানায়, তরুণীর সঙ্গে তিন বছর পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সর্ম্পক গড়ে তুলেন। গত শনিবার রাতে ওই কলেজ ছাত্রীর সাথে দেখা করতে গেলে স্থানীয়রা আপত্তিকর অবস্থায় তাদের আটক করে। পরে রানা মিয়ার পরিবারের লোকজন তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।

পরে ওই দিন রাত ৩ টার দিকে পুলিশ সদস্য রানার মিয়ার বাড়িতে গিয়ে ভুক্তভোগী তরুণী গত দুইদিন ধরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেন। কিন্তু প্রেমিক রানার পরিবার তাকে মেনে নিতে রাজি হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার হুমকি দেয় ওই প্রেমিকা।

অনশনে থাকা ওই তরুণী বলেন, গত তিন বছর ধরে রানার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক। রানা তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও করেছেন। বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দেন।

ওই তরুণী আরও বলেন, রানার বাড়িতে অনশনে থাকার সময় তার পরিবারের লোকজন আমাকে খাবার জন্য এক গ্লাস পানিও দেয়নি। এমনকি আমি যে ঘরে বসে আছি সেই ঘরের বৈদ্যুতিক লাইন কেটে দিয়েছে।

এ বিষয়ে গৌরীপুর থানার (ওসি) খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী বলেন, আদালতে ভিকটিমের জবানবন্দি ও ফরেনসিক পরীক্ষার পর তার পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারী কোন কর্মচারীকে গ্রেফতার করতে হলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতির প্রয়োজন হয়। অনুমতি পেলেই তাকে গ্রেফতার করা হবে।